১৫ পুলিশ হত্যা মামলা : কারাগারে পাঠানো হলো সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসকে
০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৫ এএম | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, লতিফ বিশ্বাসকে এনায়েতপুরে পুলিশ হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের দুবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।
এর আগে রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লতিফ বিশ্বাসকে আটক করে যৌথবাহিনী। আটকের পর তাকে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে সেনাক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
সেনাবাহিনীর সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ আল-আমীন বলেন, যৌথ অভিযানে লতিফ বিশ্বাসকে আটক করে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অতীতে অস্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থায় তার ভূমিকা কি ছিল, ৫ আগস্টের আগে তার ভূমিকা কেমন ছিল সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, ৫ আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে লতিফ বিশ্বাস নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। তার নির্বাচনী এলাকায় হত্যাসহ একাধিক মামলা থাকলেও কোনো মামলাতেই তাকে আসামি করা হয়নি। এ কারণে তিনি এলাকাতেই অবস্থান করছিলেন। গত শনিবার রাতে তিনি এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলীর বার্ষিক ওরস মাহফিলে যোগ দিতে গেলে কিছু লোক তার গাড়ি আটকে দেয়। দরবার শরীফের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বেলকুচি থানার ওসি জাকারিয়া হোসেন বলেন, লতিফ বিশ্বাসসের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা ছিল না।
আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে রয়েছেন। তিনি দুবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, দুবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুবার সংসদ সদস্য এবং দুবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই গণহত্যা: হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
শিগগিরই চালের দাম কমে আসবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সহযোগিতা দিচ্ছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি
ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি যুদ্ধ নাকি বন্ধুত্বের পক্ষে
মিথ্যা ন্যারেটিভ ভেঙ্গে দেয়া আমাদের ইতিহাসের দায়বদ্ধতার অংশ
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
এক-পঞ্চমাংশ এইচ-১বি ভিসাই ভারতীয় সংস্থাগুলোর কাছে
গ্রীনল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প জুনিয়র
মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিতে বন্যা
ভারতে চীনের পরিবর্তে বাড়ছে জাপানি বিনিয়োগ
পশ্চিম তীরে ৩ ইসরাইলি নিহত
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা একীভূত করার প্রস্তাব ট্রাম্পের
অস্ট্রিয়ায় সরকার গঠন করছেন অতি ডানপন্থি নেতা কিকল
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ-কুকুর
শত্রুদের যে বার্তা দিলেন কিম
আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসের সদস্যপদ পেল ইন্দোনেশিয়া
স্বামী ও ৬ সন্তান রেখে ভিক্ষুকের সঙ্গে পালালেন নারী
গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনড় এরদোগান
সন-টটেনহ্যাম চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি
ইবি’র পাঠ্যসূচিতে জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস